অস্বাস্থ্যকর হতে পারে অফিসের ক্যাফের খাবার
ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক
কর্মক্ষেত্রের ক্যান্টিনের খাবার হতে পারে অতিরিক্ত লবণযুক্ত ও পরিশোধিত শস্যের খাবার। যা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়।
যদি দুপুরে অফিসের ক্যাফেতে খাওয়ার অভ্যাস থাকে তাহলে আরেকবার খাওয়ার আগে ভাবুন। কারণ গবেষণায় দেখা গেছে, এসব খাবারে সোডিয়ামের পরিমাণ বেশি। পরিশোধিত শস্য থেকে তৈরি। ক্যালোরি, খুব সামান্য পরিমাণে গোটাশস্য এবং ফল থাকে। এসব খাবার খাওয়ার ফলে ক্যান্সারসহ বিভিন্ন ধরণের রোগ হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।
যুক্তরাষ্ট্রে ভিত্তিক একটি সংস্থা পাঁচ হাজার কর্মীর উপর গবেষণা চালায়। দেখা গেছে, প্রায় এক চতুর্থাংশ সপ্তাহে কমপক্ষে একবার এখান থেকে খাবার খেয়ে থাকেন। ফলে গড়ে সপ্তাহে প্রায় ১ হাজার ৩শ’ ক্যালরি শরীরে জমা হয়।
খাবারে উচ্চমাত্রায় ক্যালরি থাকে এবং শক্ত চর্বি বা চিনিজাতীয় খাদ্য থেকে প্রায় ৭০ শতাংশের বেশি বাড়তি ক্যালরি যোগ হয়।
‘ইউএস সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন’ বিভাগের মহামারি বিশেষজ্ঞ স্টিফেন ওনুফ্রাক বলেন, “আমাদের গবেষণায় দেখা গেছে, অফিসে কাজের সময় যেসব খাবার খায় তা খাদ্য নির্দেশিকা তালিকায় উল্লিখিত চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম নয়।”
“আমরা দেখেছি যে, কর্মীদের জন্য অনেক খাবার বিনামূল্যে ছিল।”
তিনি পরামর্শ দেন, নিয়োগকর্তারা মিটিং ও সামাজিক উৎসবগুলোতে বিকল্প স্বাস্থ্যকর খাবারে উৎসাহিত করার জন্য স্বাস্থ্যকর মিটিংয়ের নীতিগুলো বিবেচনা করতে পারেন।
গবেষকদের মতে, বিকল্প স্বাস্থ্যকর খাবার প্রাপ্তি ও উন্নয়নে কর্মক্ষেত্র গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
তারা প্রস্তাব করেন যে, নিয়োগকর্তারা কর্মীদের সুস্থতার প্রোগ্রামগুলো ব্যবহার করে কর্মীদেরকে সুস্থ থাকতে সাহায্য করতে পারেন। এই প্রোগ্রামগুলো সুস্বাস্থ্যের বিকল্প পথ অনুসরণে উৎসাহিত করতে পারে।
ক্যাফেটেরিয়া বা খাবারের দোকানে খাবারের মান যেন গুণগতভাবে ঠিক থাকে সেদিকে কর্তৃপক্ষ নজর দিতে পারেন।
অনুফ্রাকের মতে, “কর্মক্ষেত্রের সুস্থতার কর্মসূচি লক্ষ লক্ষ কর্মীর মধ্যে ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা আছে এবং এটা কর্মীদের স্বাস্থ্যগত আচরণ, অমনোযোগিতা ও চিকিৎসা খরচ কমাতে সহায়ক।”
বোস্টনে অনুষ্ঠিত ‘নিউট্রিশন ২০১৮’ সভায় ৫ হাজার ২শ’ ২২ জন কর্মচারীর তথ্যের ভিত্তিতে করা এই গবেষণা উপস্থাপন করা হয়।